PHYLOSOPHY OF MOONLIT

“Where Moments With Chadni Live Forever”

এই পাতা শুধু তার অনুপস্থিতে তাকে উপস্থিত করা।  চাইলে মিথ্যা লাইন, বানানো গল্প, অবাস্তব স্মৃতি তুলে ধরা যেত । এতে আমার নিজকে নিজের কাছে ছোট মনে হবে। তাই যতটুকু সত্য তুলে ধরেছি। উইথ এভিডেন্স । তার শৈশব থেকে শুরু করে অনেক স্মৃতি আমার নিকট রয়েছে । প্রাইভিসি মেনটেইন এর কারণে প্রকাশ করলাম না। 

“Art of Moonlit”

তুমি রঙে কথা বলো, আমি নীরবে শুনি। তোমার তুলির আঁচড়ে লুকিয়ে আছে আমার গল্প। যে রঙে তুমি স্বপ্ন আঁকো, সে রঙেই আমি তোমায় দেখি। তোমার শিল্প, আমার নীরব অনুভূতির প্রতিচ্ছবি। তুমি ছবি আঁকো, আমি তাতে হৃদয় খুঁজি। তুলির প্রতিটি রেখা যেন আমার প্রতি একেকটি নীরব চিঠি। তুমি যে ছবি আঁকো, আমি তার ভেতরে তোমায় খুঁজি। তোমার প্রতিটি রঙ, আমার জন্য লেখা একেকটি কবিতা।

“Echoes of Seen” ✨

তার নীরব দৃষ্টিই ছিল আমার কাছে এক অদৃশ্য বার্তা। শব্দে নয়, সে যেন চোখের আড়াল থেকেই উপস্থিতির প্রমাণ রেখে যেত। প্রতিটি চিহ্ন আমাকে মনে করিয়ে দিয়েছে—সে আছে, তবে এক অদ্ভুত দূরত্বে। তার উপস্থিতি ছিল আলো-ছায়ার মতো; কাছে থেকেও দূরে, দূরে থেকেও খুব কাছে।

“The First Word That Touched My Soul”✨

এটা ছিল তার প্রথম মেসেজ। এইভাবে লিখার কারণ হচ্ছে; আমার বন্ধুরা একদিন প্রাঙ্ক করে আমার নাকে তুলা দিয়ে। মারা যাওয়ার অভিনয় করিয়েছে । সেই একটা ছবি যখন তাদের মেসেঞ্জারে পাঠিয়েছে । ঠিক তখন সে আমাকে উদ্দেশ্য করে বলতেছে মারা গেলে আজকে স্কুলে আসসোস কিভাবে । তার সেই ছোট্ট মেধায় আমাকে বলতেছে:- গাঁধা এখনো নাইনে উঠে মায়ের হাতে মার খাস। আমি খুব উপভোগ করেছি ছেলে বেলায় তার এই মেসেজ গুলো।

সন্ধ্যা- ৬ঃ৩৪, ৩০ আগষ্ট, ২০১৮ ।

“Just One Last Chance”✨

চারদিকে যখন তার বিষয়ে জানাজানি হয়ে গেলো; আমার যেন পায়ের নিচে মাটি নেই। খোদার তরফ হইতে আমার একটি গুণ । আমি কখনো হাল ছাড়ার মানুষ না । আমি সাহস করে তার আম্মুর নাম্বারে মেসেজ করে দিলাম- আন্টি আমাকে শেষ একটা সুযোগ দিবেন প্লিয।

রাত- ১১ঃ১৪, ১৪ জুলাই, ২০২১।

“First Gift for She”✨

এই উপহারটি ২০১৮ সালের। বয়স কম ছিলো আমার জানি না। এক বন্ধুর জন্য গিপ্ট কিনতে গেছিলাম। তখন এই ডাইরিটা দেখে আমার পছন্দ হয়। আমি জানতাম না  সে কি পছন্দ করতো। তবে আমার কেন যেন তখন মনে হলো তাকে বাজারের সবচেয়ে সন্দুর ডাইরিটা গিপ্ট করি। কিন্তু আমার আর ভাগ্য ও  নাকি দেখলো , পছন্দ করলো । কিন্তু ওর আম্মুর কারণে বাসায় নিতে পারেনি। তবে এই ডাইরি কোন বান্দবীর কাছে আর জানা হলো না। যখন শুনলাম ও নেয় নি।

জুন ২০১৮।

““Taking her name in her absence”✨

সে আমার জীবনের একটা অভ্যাস হয়ে গেছে। আমি যখন যেখানেই যায় । কেন যেন নিজের অজান্তেই তাকে খোঁজার চেষ্টা করি। তার নামের অক্ষর কিংবা তার সৌন্দর্যের সাথে মিল পেলে। আমার সেখানে সময় কাটাতে ভালোই লাগে। যেখানেই যাচ্ছি সেই প্রথম থেকেই তাকে খুঁজেই যাচ্ছি। 

২১ জানুয়ারি ২০২২। স্থান- কুমিল্লা কোটবাড়ি।

“Last day of school life with She”✨

এই দিন ছিলো তার সাথে স্কুলের জীবনের শেষ দিন। প্রথম আসি পরিক্ষার্থীদের বিদায় ভাষণ নিয়ে- অনুষ্ঠানের ১০/১৫ আগ থেকেই কে ভাষণ দিবে এটা সিলেক্ট হয়ে গেছে । অন্যদিকে তাদের ক্লাস থেকে সে বক্তব্য দিবে । তখন ভাবলাম এই সুযোগ মিস করা যাবে না। তাই অনেক কৌশল কাজে লাগিয়ে ১০/১৫ দিন আগে সিলেক্ট করা বন্ধুর নাম কেটে আমার নাম বসালাম ।  এরপর যে কথা সেই কাজ । উপস্থাপক যখন বিদায় শিক্ষার্থীর ভাষণ দিবে বলে আমার নাম বলল । সবাই তো অবাক কেমনে কি? প্র্যাক্টিস করলো একজন আর বক্তব্য দিচ্ছে আরেকজন।  আমার নিজকে শো-আফ করার কোনো ইচ্ছাই নেই। কিন্তু তার দৃষ্টি আমার প্রয়োজন তাই বাধ্য হয়ে আমাকে এই কাজটি করতে হলো। 

এবার আসেন ক্যামরা ম্যান নিয়ে- ওরে আমি আগেই থেকে বলে দিলাম এই মেয়ে যখন বক্তব্য দিতে যাবে যেমনে হোক পাশাপাশি অবস্থায়  তার সাথে ছবি তুলবেন। কিন্তু আপসোসের বিষয় তখন তার ক্যামরায় কি যেন সমস্যার কারণে তুলতে পারে নাই। এই দিকে আমার বক্তব্য শেষ ।এরপর তার ক্যামরা ঠিক হলো। তার সাথে স্কুল জীবনের শেষ দিন আর ছবি উঠানো হলো না। পরে আমার একটা বন্ধু তার এই সিংগেল ছবিটি তুলে দেয় । সেদিন আর আমার রাতে ঘুম হয়নি ।

১ ফেব্রুয়ারি ২০২০

Scroll to Top